Mirror নিউরন নামে আমাদের শরীরে এক ধরনের নিউরন থাকে। এই নিউরনের কাজ হলো অন্যের অনুভূতি এবং অন্যের মনোভাব বুঝতে সহায়তা করা। মাত্র দুই বছর বয়সেই শিশুদের মধ্যে অন্যের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়। অন্য কেউ কষ্ট পেলে সেটা আমরা অনুভব করতে পারি। এটাকে ইংরেজিতে আমরা বলি Empathy। বেশিরভাগ দার্শনিকই মনে করেন যে- অন্য মানুষের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে পারার ক্ষমতাই আমাদের মধ্যে নৈতিকতা তৈরি করে, আমাদেরকে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় পলিসি মেকার, বিজ্ঞানী, দার্শনিক মনে করেন যে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ Empathy বা সহমর্মিতা নেই বলেই পৃথিবীতে এত রক্তারক্তি এবং যুদ্ধবিগ্রহ।
কিন্তু কানাডিয়ান মনোবিজ্ঞানী পল ব্লুম বলছেন ঠিক বিপরীত কথা। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখিয়েছেন যে- এই পৃথিবীতে যত বৈষম্য ও অনৈতিকতা রয়েছে তার সবচেয়ে বড় কারনগুলোর মধ্যে একটি হলো আমাদের এই Empathy। তার মতে এটি আমাদের উপকার করার বদলে আমাদের মধ্যে অস্থিরতা এবং অযৌক্তিক চিন্তাভাবনার জন্ম দেয়, যা শেষ পর্যন্ত অন্যের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। ব্লুম বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাহায্যে এই বইতে দেখিয়েছেন ব্যক্তিগত এবং জাতীয় পর্যায়ে- Empathy কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।